বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে বাধা লোপাটকারীদেরই উৎসাহিত করবে: নোয়াব সভাপতি

Passenger Voice    |    ০৫:৩৬ পিএম, ২০২৪-০৫-০৪


বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে বাধা লোপাটকারীদেরই উৎসাহিত করবে: নোয়াব সভাপতি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা অর্থ লোপাটকারীদেরই উৎসাহিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) সভাপতি এ কে আজাদ।

শনিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

নোয়াব সভাপতি বলেন, দেশে দুর্নীতি বাড়ছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় দুর্নীতি বাড়ছে। এক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আরেক মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় না থাকায় জবাবদিহিও মিলছে না। এসব নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে বিনা অনুমতিতে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নোয়াব ও সম্পাদক পরিষদ থেকে এর বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের পদক্ষেপ লোপাটকারীদেরই উৎসাহিত করবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে নয়টি আইন রয়েছে, যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে প্রভাবিত করে। আরও তিনটি আইনের খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এর পাশাপাশি প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধনের বিষয়টি ধরলে এমন আইনের সংখ্যা হবে ১৩। প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধনের খসড়া বারবার দেখতে চাওয়া সত্ত্বেও গণমাধ্যমের কাউকে দেখতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক নেতারা।

রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলার প্রসঙ্গ টেনে এ কে আজাদ এরপর বলেন, ‘আমাদের প্রশ্ন হলো সাংবাদিকতা কি অপরাধ?’

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্‌ফুজ আনাম। সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান ও দেশ রূপান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তাফা মামুন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকেরা।